পরিবারে কন্যা সন্তান জন্মালেই পাওয়া যাবে ৫০০০০ টাকা, জানুন কি এই প্রকল্প। Bhagya Laxmi yojana

22 / 100

Bhagya Laxmi yojana 2024: পরিবারে কন্যা সন্তান জন্মালেই পাওয়া যাবে ৫০ হাজার টাকা। কেন্দ্র সরকার থেকে শুরু করে রাজ্য সরকার মেয়েদের জন্য নানান প্রকল্প চালু করেছে। এরকমই একটি প্রকল্প হলো ভাগ্যলক্ষ্মী যোজনা(BhagyaLaxmi yojana 2024)। এই যোজনায় পরিবারে কন্যা সন্তান হলেই পাওয়া যাবে ৫০ হাজার টাকা । এবং সেই কন্যা সন্তান ২১ বছরের হলে তার পরিবারকে আরো ২ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। তাছাড়াও জন্মের সময় কন্যা সন্তানের মাকে ৫১,০০০ টাকার আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। Bhagya Laxmi yojana

অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল পরিবারগুলো যেন কন্যা সন্তান জন্মদানে উৎসাহিত হয় এবং মেয়েদের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে কোন আর্থিক প্রতিকূলতা না থাকে এই উদ্দেশ্যেই ভাগ্যলক্ষ্মী প্রকল্পটি চালু করা হয়। 

 ভাগ্যলক্ষ্মী প্রকল্প কি? কারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবে? এই প্রকল্পে কিভাবে আবেদন করা যায়? এই প্রকল্প আবেদন করতে গেলে কি কি ডকুমেন্টের প্রয়োজন হয় আজকের প্রতিবেদনে আমরা এসব তথ্য বিস্তারিতভাবে তুলে ধরব।

ভাগ্যলক্ষী যোজনা 2024 : Bhagya Laxmi yojana 2024

প্রকল্পের নামভাগ্যলক্ষী প্রকল্প বা যোজনা 
চালু করেছেনউত্তর প্রদেশ সরকার 
উদ্দেশ্য জন্ম থেকে একটি কন্যা সন্তানের বড় হওয়ার পথে কোনরকম আর্থিক বাধা সৃষ্টি না হয় এই উদ্দেশ্যেই এই প্রকল্প চালু করা হয় 
সুবিধাএই প্রকল্পে ২ লক্ষ টাকার আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয় 
আবেদন মাধ্যম অনলাইন / অফলাইন 

** উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ভাগ্যলক্ষ্মী যোজনাটি চালু করেন। তাই এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে হলে আবেদনকারীকে অবশ্যই উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের বাসিন্দা হতে হবে।

এখন পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাদের জন্য এই প্রকল্পেরর আবেদন শুরু হয় নাই, আপনাদের মতামত জানান – ভাগ্যলক্ষী প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গে চালু প্রয়োজন? জানান কমেন্ট করে।

 ভাগ্যলক্ষ্মী যোজনার উদ্দেশ্য :

  •  অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারগুলো কন্যা সন্তান জন্মালে যেন উৎসাহিত হয় এই উদ্দেশ্যে এই প্রকল্পটি চালু করা হয়েছে।
  •  এছাড়াও পরিবার এবং সমাজের মধ্যে মেয়েদের মর্যাদা আরো উন্নত করার জন্য এই যোজনাটি করা হয়েছে।
  •  মেয়েদের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে যেন কোন অর্থনৈতিক প্রতিকূলতা না থাকে এই উদ্যেশে প্রকল্পটি চালু করা হয়েছে।
  •  ছেলেমেয়ে ভেদাভেদ না করে একটি সুন্দর সমাজ গড়ে তোলার জন্য প্রকল্পটি চালু করা হয়।

 ভাগ্যলক্ষী যোজনা সুবিধা :

 ভাগ্যলক্ষী যোজনায় পরিবারে একটি কন্যা সন্তান জন্মালেই ৫০০০০ টাকা নির্ধারিত করা হয়। এবং সেই কন্যা সন্তান বড় হলে অর্থাৎ ২১ বছর হলে সেই নির্ধারিত ৫০ হাজার টাকা ২ লক্ষ টাকা হয়। এবং সে সময়ে সে কন্যা সন্তান মাকে ৫১০০০  টাকা দেওয়া হয়। এই ৫১ হাজার টাকা সরাসরি ব্যাংক একাউন্টে স্থানান্তরিত করা হয়।  

কন্যা সন্তান বড় হওয়ার সাথে ধাপে ধাপে এই যোজনার টাকা দেওয়া হয়। যেন কন্যা সন্তানের শিক্ষার ক্ষেত্রে পথে রকম বাধা সৃষ্টি না হয়।

কোনো দুর্ঘটনাজনিত বা স্বাভাবিক ভাবে কন্যা সন্তানের মৃত্যু হলে তার পিতা মাতাকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়।

 কন্যা সন্তান পড়াশোনার জন্য যখন স্কুলে ভর্তি হবে তখন তাকে শ্রেণী ভিত্তিক ধাপে ধাপে টাকা দেওয়া হবে।

শ্রেণী টাকার পরিমান 
ষষ্ঠ 3000
অষ্টম 5000
দশম 7000
দ্বাদশ             8000

যোগ্যতা :

  •  ভাগ্যলক্ষ্মী যোজনার আবেদনের জন্য আবেদনকারীর পরিবারের বার্ষিক আয় 100000/ টাকার কম হতে হবে।
  •  জন্মের এক বছরের মধ্যেই এই প্রকল্পের শিশুর নাম রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে।
  •  ১৮ বছরের নিচে মেয়ের বিয়ে দেওয়া চলবে না।
  •  জন্মের পর শিশুকে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে টিকা নিতে হবে।
  •  একমাত্র উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের বাসিন্দারাই এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।
  • একটি পরিবারের দুটি মেয়েকেই শুধুমাত্র এই প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হবে।

অনলাইনে আবেদন পদ্ধতি :

  • অনলাইনে এই প্রকল্পে আবেদনের জন্য সর্বপ্রথম Bhagya Laxmi যোজনার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটি ওপেন করতে হবে।
  • অফিসিয়াল ওয়েবসাইটি খোলার পর নিউ রেজিস্ট্রেশন অপশনে ক্লিক করতে হবে।
  • এরপর pdf আকারে ভাগ্যলক্ষ্মী যোজনার online form টি ডাউনলোড করে নিতে হবে।
  • এরপর ফর্মটি প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে নির্ভুল ভাবে পূরণ করতে হবে।এবং ফর্মটিতে উল্লেখিত ডকুমেন্টস গুলো আপলোড করতে হবে।
  • এরপর submit অপশনে ক্লিক করলেই আপনার ভাগ্যলক্ষ্মী যোজনার আবেদন হয়ে যাবে।

অফলাইন আবেদন পদ্ধতি :

অফলাইনে এই স্কিমে আবেদনের জন্য অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, এনজিও, গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস, মিউনিসিপালিটি এসব জায়গায় যোগাযোগ করতে পারেন।

প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস :

  • আবেদনকারীর পিতা মাতার আধার কার্ড।
  • রেসিডেন্ট সার্টিফিকেট।
  • ইনকাম সার্টিফিকেট।
  • কাস্ট সার্টিফিকেট।
  • পিতামাতা চাকরিজীবি হলে তার একটা 

প্রমান পত্র।

  • আবেদনকারীর ব্যাংক একাউন্ট।
  • আবেদন কারীর আধার কার্ড।
  • কন্যা সন্তানের বার্থ সার্টিফিকেট।

এই প্রকল্পটি পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাদের জন্য নয়, আপনাদের মতামত জানান – ভাগ্যলক্ষী প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গে চালু প্রয়োজন? জানান কমেন্ট করে।

Leave a Comment